থমকে করিমপুর বক্সিপুর ঘাটের সেতু: জনস্বার্থে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি আইনজীবীর

 


মিলটন মণ্ডল, করিমপুর, টিপিএফ বাংলা:  নদীয়া মুর্শিদাবাদের সংযোগস্থল করিমপুর-বক্সিপুর ঘাট। আর এই ঘাটেই প্রায় সমাপ্ত হওয়া ব্রিজ ঠাঁই দাড়িয়ে! জলঙ্গির খড়ি নদী পারাপারে দুর্ভোগে করিমপুরগামী নিত্য যাতায়াতকারীরা। এবার এই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণর দাবি জানিয়ে জনস্বার্থে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাইকোর্টের আইনজীবী রবিউল ইসলাম।


উল্লেখ্য, বাম জামানার ১৯৯৫ সালের ৬ জুলাই সাংসদ মাসুদাল হোসেন, বিধায়ক আনিসুর রহমান ও চিত্ত বিশ্বাসের সময় করিমপুর-বক্সীপুরের এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। এবং ২০০৬ সালে সেতুটি'র নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু সেতুটি'র প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েও থমকে গেছে কাজ। কারণ সকলের অজানা! তারপর কেটে গেছে ৩০ টি বছর। মুর্শিদাবাদের ডোমকল বক্সিপুর ও নদীয়া করিমপুরের  মেলবন্ধনে একমাত্র পথ হতো এই সেতুটি। এবার এই সেতু নির্মাণের কাজ সরকারের কাছে সম্পূর্ণর দাবি জানিয়ে জনস্বার্থে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাইকোর্টের আইনজীবী রবিউল ইসলাম। গত শনিবার সেই মামলার প্রয়োজনে করিমপুর বক্সিপুর ঘাটের সেতু পরিদর্শনও করেছেন তিনি।


আইনজীবী রবিউল ইসলাম সেতু'টি পরিদর্শন করে টিপিএফ বাংলা'কে জানান, এই ব্রীজের ভিত্তিস্থাপনের পর কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু ব্রীজের কাজ থমকে যাওয়ার পর অনেক জনপ্রতিনিধি এসেছে। এত টাকা খরচ করে প্রায় সমাপ্ত হওয়া ব্রীজের কাজ থমকে যাওয়ার ঘটনায় জনপ্রতিনিধিদের কেউই এই ব্রীজ নিয়ে মাথা ঘামায় নি। তাই এই ব্রীজ নিয়ে যা কিছু সমস্যা আছে তার দ্রুত সমাধান করার আর্জি নিয়ে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে আমার। আগামী সপ্তাহে মামলা দায়ের করবো। ব্রীজ পরিদর্শন করে আমার মনে হচ্ছে কোর্ট হস্তক্ষেপ করলে এই ব্রীজের কাজ সম্পূর্ণ হবে এবং আশাবাদী  ব্রীজের কাজ কোর্টের তত্বাধানেই আমি করতে পারবো।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال