![]() |
| নিজস্ব ছবি |
টিপিএফ বাংলা ডেস্ক: বৈশাখের প্রথম থেকেই বেড়েছে তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রির আশপাশে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েক দিনে নেই বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা। এ দিকে, প্রখর রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে মাটি। পাট, তিল, মরসুমি আনাজের খেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ফসল বাঁচাতে চাষিদের ভরসা সেই পাম্পসেট।
নদীয়ার থানারপাড়া থানা এলাকার চর-মোক্তারপুরের চাষি জ্বিরাইল সেখ বলেন, এ বছর বিঘা দুই খেতে পাট চাষ করেছি আর দু’বিঘা কলা চাষ রয়েছে। তিনি বলেন, “বৃষ্টি নেই। রোদের তাপে খেতের মাটি শুকিয়ে গিয়েছে। মাটি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে খেতে নিড়ানি দেওয়া যাচ্ছে না। পাটের চারাগাছের ডগা শুকিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দু’বার সেচ দিয়েছি। তার পরে পাটের আশা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছি।” অন্যদিকে, কলার জমিতেও প্রতিনিয়ত সেচ দিতে হচ্ছে। ডিজ়েল প্রায় ৯৩ টাকা লিটার। এক বিঘা জমিতে জলসেচ দিতে আগে যে সময় লাগতো, এখন তার দ্বিগুন সময় ধরে পাম্পসেট চালাতে হচ্ছে। সেচের যা খরচ তাতে ফসল বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ছে।”
পাট, তিল, কলা, মরসুমি আনাজের খেতে জলসেচের কোনও বিকল্প নেই। অনেক চাষি খেতে ঠিক মতো জলসেচ দিতে পারেননি। ফলে খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা খেতের পাট, তিল সহ অন্য ফসল। খেতে বোরো ধানে শিষ প্রায় পরিণত হওয়ার মুখে। ধান বাঁচাতে প্রায় প্রতিদিনই খেতে জলসেচ দিচ্ছেন চাষিরা। কলা, আনাজ খেতেও নিয়মিত জলসেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। অন্য দিকে, রোদের তাপে ঝলসে যাচ্ছে করলা, শশা, লঙ্কা, বেগুনের মতো আনাজের খেত। চাষিদের দাবি, এই আবহাওয়ায় আনাজের ফল, ফুল শুকিয়ে নষ্ট হয়ে ঝরে পড়ছে। রোগ পোকার আক্রমণও দেখা দিয়েছে। ফলে ফলন কমছে।
অবশ্য, “এই আবহাওয়ায় ফসল বাঁচাতে সকালে অথবা বেলা গড়ালে খেতে জলসেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞরা।
